• ২০২৫ এপ্রিল ২৯, মঙ্গলবার, ১৪৩২ বৈশাখ ১৬
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:০৪ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

কৃষক দলের নেতা ভালুকার সেই রিয়াজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

  • প্রকাশিত ০১:০৪ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
কৃষক দলের নেতা ভালুকার সেই রিয়াজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
time bangla news
মোঃমোজাম্মেল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধি




জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সহযোগি সংগঠন কৃষক দলের নেতা হয়েও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাথে আতাত করে ভ‚মি দস্যুতার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামানোর পরও ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভালুকা গ্রামের মোঃ রিয়াজ উদ্দিন। হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সেই রিয়াজ বোল পাল্টে এখন বিএনপির ব্যানারেও নানা অপকর্ম চালাচ্ছে মর্মে অভিযোগ অনেকের। তার অত্যাচার নির্যাতনে বেদিশা ভালুকাসহ গাজীপুরের শ্রীপুর অঞ্চলের শিল্প মালিকরাও। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- রিয়াজ উদ্দিন একজন ধূর্ত প্রকৃতির লোক। আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি কৃষক দল নেতার পরিচয়ের বাইরে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে গড়ে তোলেন সখ্যতা। তিনি ওই সরকারের দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীসহ তৎকালিন বড় বড় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে ছবি তুলে নিজেকে সর্ব সাধারণের মাঝে ক্ষমতাধর হিসেবে পরিচিত করে তোলেন। শুধু তাই নয়, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকের সাথেও রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ ছবি। যে গুলোকে কাজে লাগিয়ে প্রভাব খাটিয়ে তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা ও পাশ্ববর্তী জেলা গাজীপুরের মাওনায় বিভিন্ন জমিসহ সরকারি খাস জমি, বনবিভাগের জমি কৌশলে দখল করে নেন এবং পরবর্তীতে সেগুলোর ভ‚য়া কাগজপত্র নিজে তৈরী করে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে সহজ-সরল ব্যক্তিদের নিকট বিক্রি করে দেন। একটি সূত্র জানায়- আওয়ামী সরকারের সময়ে সরকারি বন বিভাগের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদেরকে মারধরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে আওয়ামী নেতাদের সহায়তায় দ্রæত সময়ের মধ্যেই তিনি ওই মামলা থেকে ছাড়া পান এবং আবারও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ৫ আগষ্ট রাতে এলাকাবাসী যখন হাসিনার পতনে আনন্দ উল্লাসে রত, ঠিক সেই মুহুর্তে রিয়াজ উদ্দিন কৃষক দল নেতার ব্যানারে ভালুকার সীডস্টোর এলাকার চেচুয়া বাজারের নিকটস্থ স্মাইল এ্যাপারেল্স লিঃ এর গেইটে যান লোকজন নিয়ে। সেখানে তিনি কারখানার দারোয়ানদেরকে গেইট খুলে দেয়ার জন্য চাপ দেন। সেদিন তারা গেইট না খোলায় রিয়াজ ওই গেইটে তালা এটে দেন। পরে রিয়াজ কর্তৃপক্ষের সাথে সমযোতার ভিত্তিতে গেইট খুলে দেন।


অনেকে জানান- রিয়াজ উদ্দিনের কোন ধরনের কৃষি জমি-জমা না থাকলেও তিনি এখন কৃষক দল নেতা। নিজেকে কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ান। অতিতে তিনি আওয়ামীলীগের ব্যানারে এবং বর্তমানে কৃষক দলের ব্যানারে মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন করে টু-পাইস কামাচ্ছেন।

রিয়াজ উদ্দিনের হেন কর্মকান্ডের কারণে বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিব্রত বোধ করছেন। কাজেই দলের ভাব-মূর্তি রক্ষার্থে তাকে এখনই থামানো দরকার বলে মনে করেন সর্বসাধারণ। ভালুকার পলিগন ফ্যাশন লিমিটেড এর সাথেও রিয়াজের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। অভিযোগ আছে, তার অত্যাচার নির্যাতনের ফলে পলিগনের মালিক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। পলিগনের সাথে তার এখনো ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি মামলা রয়েছে বলে রিয়াজ সংবাদ মাধ্যমে স্বীকার করেন।

রিয়াজ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ভালুকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোরশেদ আলম মুঠো ফোনে জানান- রিয়াজ বিশ্ব চিটার, টাউট। সে দল বিক্রি করে খায়। এদিকে রিয়াজ উদ্দিনের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে, তিনি জানান- প্রতিপক্ষ তার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার সাথে যাদের ছবির কথা বলা হয়েছে, তাদের কারো কারো সাথে আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আর বাকি ছবিগুলো এডিটিং করা। তিনি বলেন- পলিগনের মাালিক পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করেছে। তবে তাদের সাথে আমার চেক মামলা ছাড়া অন্য কোন সমস্য নেই। রিয়াজ উদ্দিন বলেন- আমি বহু কোম্পানীকে জমি ক্রয়করে দিয়েছি। শিল্প উদ্যোগ বাড়াতে সহযোগিতা করেছি। আমার বিরুদ্ধে কেউ গোপনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাকে বনের মামলায় ফাঁসিয়েছে।

সর্বশেষ