• ২০২৫ Jun ১৫, রবিবার, ১৪৩২ আষাঢ় ১
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৭:০৬ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

গোলাপের মন্ত্রিপাড়ার বাংলোর বরাদ্দ বাতিল

  • প্রকাশিত ০৮:০৬ অপরাহ্ন রবিবার, Jun ১৫, ২০২৫
গোলাপের মন্ত্রিপাড়ার বাংলোর বরাদ্দ বাতিল
আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ)
অনলাইন ডেস্ক


মন্ত্রী না হয়েও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) রাজধানীর মন্ত্রিপাড়ায় যে বাংলোয় থাকতেন, সেটির বরাদ্দ বাতিল করেছে সরকার। একইসঙ্গে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলোটির চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা সরকারি আবাসন পরিদপ্তর বাংলোটির বরাদ্দ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওইদিনই আবদুস সোবহানকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বরাদ্দ বাতিলের পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলোটি থেকে নিজের মালামাল ও আসবাব সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন আবদুস সোবহান। তবে কিছু মালামাল এখনো রয়েছে। বাকি মালামাল সরানোর জন্য তাকে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাংলোটির চাবিও বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া নতুন প্রতিমন্ত্রীর জন্য বাসাটি মেরামত করতে হবে। নতুন করে সাজাতে হবে।


গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিপাড়ায় মিন্টো রোডের ৪২ নম্বর বাংলোটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রী না হয়েও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) সে বাংলোয় থাকতেন। এ বিষয়টি নতুন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নজরে আসে। তিনি খতিয়ে দেখে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

এদিকে আজ বাড়িটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) শহীদুল ইসলাম ভূঞাসহ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল। দলের সদস্যরা জানান, তারা বাড়িটির সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য গিয়েছিলেন। তবে তালা মারা থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেননি। চাবি আবদুস সোবহানের লোকদের কাছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর মিন্টো রোড মন্ত্রিপাড়া বলে পরিচিত। সেখানকার দোতলা বাংলোগুলোয় মন্ত্রীরা বসবাস করেন। সেখানকার ৪২ নম্বর বাংলোয় থাকছিলেন আবদুস সোবহান। বাংলোটিতে আবদুস সোবহান উঠেছিলেন ২০১৬ সালে। তখন তিনি বাংলোটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে। যদিও ২০১৮ সালের পর থেকে তিনি আর বিশেষ সহকারী নেই।





সর্বশেষ