কক্সবাজার মহেশখালী নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের নাটকীয় অভিযান!
মতিউল ইসলাম( মতি) কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার মহেশখালীর সাগরের মোহনায় বিভিন্ন ঘাট ও পয়েন্টে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, টেকসই সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় নৌ-যান কর্তৃক সকল প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশেষ নাটকিয় অভিযানে পরিচালনা করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা সুরমা’ নিয়মিত টহল চলাকালীন গভীর রাতে বঙ্গোপসাগর কক্সবাজার (ভিজিডি-৩০) ছয়টি ফিশিং ট্রলার আটক করে।
আটক ট্রলারগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে ১০৩ জন জেলে এবং ১৩ হাজার ৫০০ পিস ইলিশ, অন্যান্য প্রজাতির মাছ ৮৫ কেজি এবং ৪.৫৫ লক্ষ মিটার জাল জব্দ করা হয়।
এসবের আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি ১৬ লাখ টাকার অধিক।
আটক জেলেরা ভোলা এবং হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আটককৃত ইলিশ ও জালসহ জেলেদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এসব নৌবাহিনীর নাটকিয় অভিযানের বিরুদ্ধে জনতার অভিযোগ আছে?অনেক সময় দেখা গেছে।
মহেশখালীতে অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে আটক দেখানো হয়েছে, নিরহ লোকজনের উপর অত্যাচার করেছে। মোট অংকের টাকার বিনিময় সাধারণ মানুষকে অস্ত্র দিয়ে থানায় চালান করেছে।তাদের এসব নাটকিয় অভিযানে, গেল কয়েএক মাসে অনেক নিরহ লোকের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
পরবর্তীতে জব্দকৃত মাছ মহেশখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরীব পরিবারের মাঝে টুকটাক বিতরণ করা হয়।
নাটকীয়ভাবে ব্রিফিং করে সাধারণ জনতার মাঝে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছেই।টাইম বাংলা নিউজের অনুসন্ধান বলছে ভালো ভালো মাছ গুলো নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের কর্মীরা বিক্রয়ের উদ্দেশ্য আলাদা করে রেখে দিয়েছে এবং অন্যান্য মাছগুলো অল্প অল্প এতিমখানায় দিয়ে সিস্টেম করেছে। এবং অনুসন্ধান আরও জানা গেছে ১০৩ জন অপরাধীকে মোট অংকের টাকার বিনিময়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। মাছ ধরার ট্রলার গুলোকে আটক রাখা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, জাটকা নিধন প্রতিরোধ এবং সরকার প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন মোট ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ অপারেশন-২০২৫ বাস্তবায়নে নৌবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।
চলমান এ অভিযানে নৌবাহিনী অদ্যাবধি প্রায় ১৫৭ কোটি, ৯৭ লাখ, ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, জাটকা ও মাছ ধরার সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে।
সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের মৎস্য সম্পদ এবং জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ০৫ আগস্ট এর পরপর মহেশখালীর দায়িত্ব রত নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে শত শত অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এইসব অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন কক্সবাজারে সচেতন মহল।
মতামত দিন